হিন্দুদের বীরত্বগাথা ইতিহাস (!)

• এরা তো সেই হিন্দু, যাদের রাজা লক্ষণ সেন বখতিয়ারের মাত্র ১৮ অশ্বারোহীর ভয়ে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়েছে !
• এরা তো সেই কাপুরুষজাতি,
যাদেরকে মাত্র সতের বছরের বিন কাসিম সেই আরব থেকে এসে সিন্ধু পর্যন্ত তাড়িয়ে এনেছিলেন !
• এরা তো সেই হনুমানপুজারি,
যাদেরকে সুলতান মাহমুদ গজনবি সতের
বার পরাজিত করে সোমনাথের মুর্তি
সংহার করেছেন !
• এরা তো সেই মারাঠা হিন্দু, যাদের তিন
লক্ষ সেনাকে আহমদ শাহ আবদালির
মাত্র সাত হাজার মুজাহিদ পানিপথের
ময়দানে পরাভূত করেছেন !
ইতিহাস পড়ে দেখুন, মুসলমানরা
অন্যকোনো জাতিকে এতো তাড়াতাড়ি
পরাজিত করেন নি, যেভাবে হিন্দুদের
পরাজিত করেছেন । এই ভারতের
হিন্দুদের অধিকাংশ ইতিহাস কেটেছে
পরাজিত হিসেবে ।
হিন্দুরা যদি যুদ্ধের পথ ছেড়ে শৃগালের
চাতুরতার পথ না ধরত, তাহলে তারা আজো
আমাদের দাস হয়ে থাকতো ।
আচ্ছা, আজ পর্যন্ত কখনো
শুনেছেন, হিন্দুরা ভারতবর্ষ ছেড়ে অন্যকোনো ভু-খন্ডের এক ইঞ্চি জায়গা দখল করতে ? ১৯৭১ইং সনে এরা
তো ধুতি মাথায় উঠিয়ে বাংলাদেশ
ছেড়ে ভারত পালিয়েছিল !
তাহলে তারা বীর হয় কীভাবে ?
হ্যা, রামায়ন-মহাভারতে তাদের অর্জুন- কর্জুন নামে কিছু বীর আছেন । যাদের নাম শুধু পৃষ্ঠাকে কালো
করেছে, এদের না আছে বাস্তবতা, না
আছে ভিত্তি !
এবার আসুন, সাম্প্রতিক হিন্দু রাজ্য ভারতের কিছু বীরত্ব জানার চেষ্টা
করি !
………………………………..
• পাকিস্তানের সাথে তাদের বেশ
কয়েকবার যুদ্ধ হয়েছে, কারগিলের
যুদ্ধ, ‘৬৫ টির যুদ্ধ ইত্যাদি । প্রায় প্রতিবারই
তারা পাকিস্তানের হাতে রামধোলাই
খেয়েছে ।
• ষাটের দশকে চীনের সাথে
তাদের লড়াই হয়, তখনো চীনাবাদাম
খেয়েছে । এখনো ভারতের এমন
কিছু এলাকা আছে, যেখানে চীনা
সেনারা তাদের সাথে বাংলাদেশকে
নিয়ে বিএসএফের যেমন আচরণ
তেমন আচরণ করে ।
• আর বাংলাদেশের বিডিআরের সাথে
তো ২০০১ সালে সীমান্তে যুদ্ধ হয়। সেখানে ৫ বিডিআরের
মোকাবেলায় ১৫০ বিএসএফ কুপোকাত
হয় ।
• কাশ্মীরের জনসংখ্যা মাত্র ১কোটি ।
যার মধ্যে হিন্দু প্রায় ২৫% । আর মুজাহিদ
মাত্র ৩ থেকে ৫ হাজার ! এই ৫ হাজার
মুজাহিদের মোকাবেলায় তাদের সৈন্য
৮ লক্ষ !!!!!
যা কখনো পাক
সীমান্তের গোলযোগের সময়
১০ লক্ষে পৌছে যায় !!!
অর্থাৎ ১ জন মুজাহিদের মোকাবেলায়
১৬০ রামসেনা !!!
• এই হিন্দুদের উদ্দেশ্যেই ভারতের
মুসলিম নেতা আকবরুদ্দীন ওয়েইসি
বলেছেন, পনের মিনিটের জন্যে
ময়দান থেকে পুলিশ সরিয়ে নিলে
ভারতের মুসলমানরা ভারত দখল করে
নিবে।
দেখলেন, তাদের বীরত্ব !!! আর
এই বীরত্বের বলেই তারা ‘হিন্দুস্তান’
কে ‘রেপীস্তানে’ পরিণত
করেছে। এদের বীরত্বের
স্বীকৃতি কাশ্মীরী মুজাহিদরা একটি
নাশীদে এভাবে দিয়েছেন-
‘হিন্দি লশকর দুনিয়া ভরকে সবসে বড়া
বুযদিল হ্যায়!
আজ তারা নাকি আমাদের মসজিদ নির্মাণে
বাধা দিচ্ছে? ভারতকে এদেশে
হস্তেক্ষেপের জন্যে আমন্ত্রণ
জানাচ্ছে!!
এরা তো সোমনাথ মন্দিরের সেই
কামোন্মাদ ব্রাহ্মণ সেবকদের
উত্তরসূরি, যারা তাদের দেবতার সন্তুষ্টির
জন্য সর্বদা পাঁচশ’ নর্তকী এবং দু’শ’
গায়িকার নৃত্য-গীতির আয়োজন করত,
কুমারী মেয়েদের ধর্ষণ করত ও
বলি দিত।
এদের শায়েস্তা করতে ছুটে
এসেছিলেন সুলতান মাহমুদ গাজনবী,
যিনি এই রামসেনাগুলোর নিকট এক
অপ্রতিরোধ্য শক্তি হিসেবে আবির্ভুত
হয়েছিলেন। এদের উত্তরসূরি
বীরেরা(!) আবারো পুরো
ভারতবর্ষকে সেই সোমনাথে পরিণত
করেছে, এবং সুলতান মাহমুদের
সন্তানদের প্রলুব্ধ করছে আরেকটি
‘ভারত অভিযানে’র জন্য ও প্রকৃত
বীরত্ব কি তা বুঝিয়ে দিবার জন্য।
এখন হয়তো বলবেন, তাহলে তারা
সিকিম, জুনাগড়, বরোদা এবং হায়দারাবাদ
কীভাবে দখল করলো ?
আসলে এগুলো সিংহের বীরত্বে
নয়, বরং শৃগালের চাতুর্যে দখল
করেছে ।
আর এই হিন্দুদের বর্তমান শক্তিশালী
রাজ্য হচ্ছে ভারত । আমরা নাকি এই
ভারতকে খু-ব-ই ভয় পাই !!!
আমরা ভারতকে বলে দিতে চাই, যে
ক্ষমতার বলে তাদের লক্ষনসেন
বখতিয়ারের ভয়ে পালিয়েছিল, আমরা
সেই বখতিয়ারের বলে বলীয়ান !
যে লক্ষ্য নিয়ে বিন কাসিম সিন্ধুতে
আগমন করেছেন, আমাদেরও সেই
লক্ষ্য !
যে গগনবিদারী ধ্বনি দিয়ে আহমদ শাহ
আবদালি পানিপথের ময়দান প্রকম্পিত
করেছেন, ইনশা আল্লাহ আমরাও সেই
ধ্বনি সহকারে তাদের সামনে আবির্ভুত
হবো !
অতএব তোদের শাহজালাল আর খান
জাহানের মাটিকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা,
আর পঙ্গপালের আগুনে ঝাপ দেওয়া
একই কথা !
তারপর যদি হাত বাড়াও, তাহলে রাশিয়ার
(সোভিয়েত ইউনিয়নের) পরিণতির কথা
স্মরণ করে নাও …!
সবশেষে সত্যিকারের বীরদের
উদ্দেশ্যে মাওলানা আসেম উমর
(হাফিজাহুল্লাহ)’র কিছু কথা,
‘সময় এসেছে সেই ধাতুনিঃস্রব
জিহাদের অগ্নিশিখা প্রজ্জ্বলনের যা
আপনারা নিজেদের অন্তরে দমিত
করে রেখেছেন সেই ১৮৭৫ সাল
থেকে। এখন সময় দেবত্বের
দাবীদারদের দেখানোর যে
আপনাদের শিরায় শিরায় এখনও মুহাম্মাদ বিন
কাসিম এর রক্ত দৌড়ে। এটা সময় তাদের
দেখানোর যে মুসলিম মায়েরা গাওরী
ও গাযনাবী’র কাহিনী এখনও তাদের
সন্তানদের কাছে বর্ণনা করেন। এটা
সময় তাদের দেখানোর
আওরঙ্গজেব এর লোককাহিনী
এখনও ভারতীয় মুসলিমদের বিবেক
জাগ্রত করে এবং মহিশূরের সিংহের
বিখ্যাত মন্তব্য এখনও ভারতীয় মুসলিম
যুবকদের প্রণোদিত করে মৃত্যুর
জন্য – একটি সম্মানিত মৃত্যু।
হে মুহাম্মাদ বিন কাসিমের সন্তানরা! হে
আওরঙ্গজেব ও গাযনাভীর
উত্তরসূরীরা, উঠে দাঁড়ান ও প্রতিরোধ এর দিকে অগ্রসর হোন
একজন বোনের পর্দা কেড়ে
নেয়ার আগে…মুসলিমদের আবারও
একত্রে জীবন্ত দগ্ধকরণের
আগে।প্রতিবাদ এর
দিকে অগ্রসর হোন! সার্বজনীন
প্রতিরোধ এ যোগ দিন!
আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) আপনাদের
সাহায্য করবেন। আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া
তা’আলা) আপনাদের সাহস যোগাবেন!
আপনারা যদি এই পথ বেছে নেন,
আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) আপনাদের
কারণে এই জাতিকে সম্মানিত করবেন।
আর সকল প্রশংসা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া
তা’আলার। যিনি বলেনঃ
ﻭَﻟَﻮْﻟَﺎ ﺩَﻓْﻊُ ﺍﻟﻠّٰﻪِ ﺍﻟﻨَّﺎﺱَ ﺑَﻌْﻀَﻬُﻢْ ﺑِﺒَﻌْﺾٍ
ﻟَّﻔَﺴَﺪَﺕِ ﺍﻟْﺎَﺭْﺽُ ﻭَﻟٰﻜِﻦَّ ﺍﻟﻠّٰﻪَ ﺫُﻭْ ﻓَﻀْﻞٍ ﻋَﻠَﻲ
ﺍﻟْﻌٰﻠَﻤِﻴْﻦَ ٢٥١؁
“(আসলে) আল্লাহ তা’আলা যদি (যুগে
যুগে) একদল লোককে দিয়ে
আরেকদল লোককে শায়েস্তা না
করতেন, তাহলে এই ভূখণ্ড ফিতনা
ফাসাদে ভরে যেতো, (কিন্তু আল্লাহ
তা’আলা তা চাননি, কেননা) আল্লাহ তা’আলা
এ সৃষ্টিকুলের প্রতি বড়োই
অনুগ্রহশীল!” [সুরাঃ আল-বাকারা; আয়াতঃ
২৫১)

১৯৪৭-এ ভারতের জম্মুর মুসলিম গণহত্যা যা ইতিহাসের এক বিস্মৃত অধ্যায়

১৯৪৭ এর ভারতের জম্মুর মুসলিম গণহত্যাঃ যা ইতিহাসের এক বিস্মৃত অধ্যায়
জম্মু ও কাশ্মীর, পাশাপাশি দুটো আলাদা এলাকা। কাশ্মীর মুসলিমপ্রধান, জম্মু হিন্দুপ্রধান। ১৯৪৭ সালের অক্টোবর মাসের আগে জম্মু মুসলিমপ্রধান অঞ্চলই ছিলো, কিন্তু ঐ এক মাসের মধ্যেই মুসলিম গণহত্যা চালিয়ে জম্মুকে হিন্দুপ্রধান অঞ্চলে পরিণত করা হয় ।

১০ই আগস্ট ১৯৪৮ এ লন্ডনের টাইমস পত্রিকায় এই গণহত্যা নিয়ে ছাপা হয়েছিলঃ ২ লক্ষ ৩৭ হাজার মুসলমানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়, সেইসব মুসলমান ব্যতীত যারা সীমানা দিয়ে পাকিস্তানে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল। এই গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিলো কাশ্মীরে ব্রিটিশ নিয়োজিত রাজা হরি সিং এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ডোগরা সেনাবাহিনীর দ্বারা। ডোগরা সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করেছিল আরএসএসের হিন্দু এবং শিখেরা।

১৯৪৭ এর অক্টোবরের এই গণহত্যার পাঁচদিন পরেই পাঠানরা কাশ্মীর আক্রমণ করে, নয়দিন পরেই হরি সিং ভারতে যোগদান করে। এই গণহত্যার ফলে ৬১% মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জম্মুতে রাতারাতি মুসলমানরা ৩৫% এ নেমে আসে। ১৯৫১ সালের আদমশুমারি করতে গিয়ে এজন্য দেখা যায়, জম্মুতে গ্রামের পর গ্রাম কোন মানুষ নেই। ১২৩ টি গ্রাম সম্পূর্ণ জনমানবহীন ছিলো, জম্মুর কাঠুয়া জেলার ৫০ শতাংশ মুসলিম গায়েব হয়ে গিয়েছিল। (সূত্রঃ http://goo.gl/zRA54Q, http://goo.gl/mlVShF)

গোটা বিশ্ব এই গণহত্যা সম্পর্কে তেমন কিছুই জানে না, কারণ ভারতীয় সরকার এই গণহত্যাকে ধামাচাপা দিতে চেষ্টার কোন কমতি রাখেনি। এ প্রসঙ্গে মনে পড়ে যায় ১৯৮৯ সালের ভাগলপুর দাঙ্গার কথা। ভারতীয় ইতিহাসবিদ গোলাম আহমাদ মোর্তজা তার বইতে লিখেছেন, ঐ দাঙ্গায় লোগিয়ন নামক এক গ্রামে পুলিশের এক হিন্দু এএসআই-এর নেতৃত্বে যে গণহত্যা চলে তাতে ১০৮ জন মুসলমানকে হত্যা করে মাটি চাপা দিয়ে দেয় সন্ত্রাসী হিন্দুরা। সাথে সাথে প্রমাণ লুকাতে ওই গণকবরকে পরিণত করা হয় ফুলকপি ক্ষেতে। অমরপুর নামক এক এলাকায় মুসলমানদের হত্যা করে মাটিতে পুতে ফেলা হয় এবং গণকবরের উপর তৈরি করা হয় রসুন ক্ষেত।

এখন তথ্যপ্রযুক্তির যুগ হওয়ায় আমরা জানতে পেরেছি কাশ্মীরের মুক্তিকামী নেতা বুরহান ওয়ানীর হত্যাকাণ্ডের কথা। এই হত্যাকাণ্ডের জের ধরে আরও ৩০ জন মুসলমানকে গুলি করে শহীদ করেছে ভারতীয় হায়েনারা। (http://goo.gl/eE9S05) ফেসবুক ইন্টারনেট না থাকলে এই হত্যাকাণ্ডের খবর ৪৭-এর জম্মু হত্যাকাণ্ডের মতোই ধামাচাপা পড়ে যেতো, ফুলকপি বা রসুনক্ষেত তৈরী করে মুসলমানদের লাশগুলো ঢেকে দিতো ঠাণ্ডা মাথার হিন্দু খুনীরা।

এসব ইতিহাস পড়েও মুসলমানরা শিশুর মতোই আলাভোলা থেকে যায়, কিছুতেই হিন্দুদের নৃশংস রূপটি তারা বোঝার চেষ্টা করে না। অনেকটা ‘লাইফ অফ পাই’ সিনেমার মূল চরিত্রটির মতো যার কাহিনী আমাকে আমার এক ফ্যান বলেছিলো, যে ছোটবেলায় না বোঝার কারণে বাঘের খাঁচার ভিতরে হাত ঢোকাতে চেষ্টা করেছিল। তার বাবা টের পাওয়ায় অল্পের জন্য সে রক্ষা পায়। (https://youtu.be/QCMPzZXNjUQ)

তার চিড়িয়াখানার তত্ত্বাবধায়ক বাবা পরে ছেলেকে শিক্ষা দেয়ার জন্য জন্য বাঘের খাঁচার গ্রীলে একটা ছাগল বেঁধে রাখে। বাঘ তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে দৌড়ে এসে ছাগলটিকে থাবা দিয়ে ছিঁড়ে ফেলে, বাচ্চাটি এই নির্মম দৃশ্য দেখে তার মায়ের কোলে মাথা লুকায়। (https://youtu.be/ghxNSQpj6pM)

বর্তমান মুসলমানদের দেখলেও আমার ঐ মায়ের কোলে মাথা লুকানো নাবালক ছেলেটির কথাই মনে হয়। এদেরকে যতোই বোঝান না কেন, হিন্দুরা তোমার শত্রু, তারা ততোই মাথা লুকিয়ে বাচ্চামানুষের মতো বলতে থাকে, যান যান বেশি সাম্প্রদায়িকতা দেখাবেন না। তবে অচিরেই বাঙালি মুসলমানদের এই ইম্যাচিউরিটি ও ছেলেমানুষির অবসান ঘটবে, যখন হিন্দুপ্রীতির খেসারত দিতে গিয়ে তাদেরকেও সিরিয়ার মুসলমানদের মতো উদ্ধাস্তু হয়ে সাগরে ভাসতে হবে।

মুসলমানের উপর হিন্দু জমিদারের নির্মম অত্যাচার কি মুসলমান ভুলে গেছে?

হিন্দু জমিদারেরা আদেশ করেছিল –
১। যারা দাড়ি রাখবে, গোঁফ ছাঁটবে তাদেরকে ফি দাড়ির জন্যে আড়াই টাকা ও ফি গোঁফের জন্যে পাঁচ সিকা করে খাজনা দিতে হবে
২। মসজিদ তৈরী করলে প্রথ্যেক কাঁচা মসজিদের জন্যে পাঁচশ’ টাকা এবং প্রতি পাকা মসজিদের জন্যে এক হাজার টাকা করে জমিদার সরকারে নজন দিতে হবে।
৩। বাপদাদা সন্তানদের যে নাম রাখবে তা পরিবর্তন করে আরবী নাম রাখলে প্রত্যেক নামের জন্যে খারিজানা ফিস পঞ্চাম টাকা জমিদার সরকারে জমা দিতে হবে।
৪। গোহত্যা করলে তার ডান হাত কেটে দেয়া হবে –যাতে আর কোনদিন গোহত্যা করতে না পারে।
৫। যে তিতুমীরকে বাড়ীতে স্থান দিবে তাকে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করা হবে।
(শহীদ তিতুমীর –আবদুল গফুর সিদ্দিকী পৃঃ ৪৮, ৪৯; স্বাধীনতা সংগ্রাসের ইতিহাস, আবু জাফর পৃঃ ১১৯; Bengal Criminal Judicial Consultation, 3 April 1832, No. 5 and 6)।
মুসলমান প্রজাদের উপরে উপরোক্ত ধরনের জরিমানা ও উৎপীড়নের ব্যাপারে তারাগুনিয়ার জমিদার রাম নারায়ণ, কুরগাছির জমিদারের নায়েব নাগরপুর নিবাসী গৌড় প্রসাদ চৌধুরী এবং পুঁড়ার জমিদার কৃষ্ণদেব রায়ের নাম পাওয়া যায় –Bengal Criminal Judicial Consultancy, 3 April 1832, No.5 রেকর্ডে। (Dr. AR Mallick, British Policy & the Muslims in Bengal, p.76)।
বারাসাতের জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টে জমিদার রাম নারায়ণের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল যাতে জনৈক সাক্ষী একথা বলে যে –উক্ত জমিদার দাড়ি রাখার জন্যে তার পঁচিশ টাকা জরিমানা করে এবং দাড়ি উপড়ে ফেলার আদেশ দেয়। Bengal Criminal Judicial Consultancy, 3 April 1832, No.5; (Dr. AR Mallick, British Policy & the Muslims in Bengal, p.76)।
তিতুমীর কৃষ্ণদেব রায়কে একখানা পত্রের মাধ্যমে জানিয়ে দেন যে, তিনি কোন অন্যায় কাজ করেননি, মুসলমানদের মধ্যে ইসলাম প্রচারের কাজ করছেন। এ কাজে হস্তক্ষেপ করা কোনক্রমেই ন্যায়সঙ্গত হতে পারে না। নামাজ পড়া, রোজা রাখা, দাড়ি রাখা, গোঁফ ছাঁটা প্রভৃতি মুসলমানের জন্যে ধর্মীয় নির্দেশ। এ কাজে বাধা দান করা অপর ধর্মে হস্তক্ষেপেরই শামিল।
পত্রবাহক বল্লো, হুজুর আমার নাম আমিনুল্লাহ, বাপের নাম কামালউদ্দীন, লোকে আমাদেরকে আমন-কামন বলে ডাকে। আর দাড়ি রাখা আমাদের ধর্মের আদেশ। তাই পালন করেছি।
কৃষ্ণদেব রাগে থর থর করে কাঁপতে কাঁপতে বললো, ব্যাটা দাড়ির খাজান দিয়েছিস, নাম বদলের খাজনা দিয়েছিস? আচ্ছা, দেখাচ্ছি মজা। ব্যাটা আমার সাথে তর্ক করিস, এত বড়ো তোর স্পর্ধা? এই বলে মুচিরামের উপর আদেশ হলো তাকে গারদে বন্ধ করে উচিত শাস্তির। বলা বাহুল্য, অমানুষিক অত্যাচার ও প্রহারের ফলে তিতুমীরের ইসলামী আন্দোলনের প্রথম শহীদ হলো আমিনুল্লাহ। সংবাদটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়লো। মুসলমানরা মর্মাহত হলো, কিন্তু সাক্ষী প্রমাণের অভাবে প্রবল শক্তিশালী জমিদারের বিরুদ্ধে কিছুই করতে না পেরে তারা নীরব রইলো।
আফসোস মুসলমান নিজের ইতিহাস ভুলে গেছে। তারা ভুলে গেছে হিন্দু জমিদারেরা কি অমানবিক নির্যাতন করেছিল মুসলমানের উপর। আজ মুসলমান তার পুর্ব পুরুষের উপর হিন্দুদের অত্যচারের কথা ভুলে তাদের ভাই বলে যারা কাছে টেনে নেয় তাদের মত গাদ্দার আর কেউ হতে পারে?

দেশটা এখন তুলসি পূজারীদের নিয়ন্ত্রণে! স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তির দাবীদারদেরকেই ব্যবস্থা নিতে হবে!

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডাটা ভারতীয় নিয়ন্ত্রণে, ভারতীয় অপসংস্কৃতির দখলে বাংলাদেশ, বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প ভারতের দখলে, বাংলাদেশকে মরুভূমি বানাতে অভিন্ন ৫৪টি নদীর পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করছে ভারত, বাংলাদেশের মোবাইলফোন নেটওয়ার্ক তরঙ্গ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় ভারত, বাংলাদেশের পাট শিল্প ভারতের দখলে, সুন্দরবনকে ধ্বংস করতে ভারতীয় কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প।

প্রতিনিয়ত ভারতীয় আগ্রাসনে যখন আমরা চরম আতংকিত। ঠিক সেই সময় নেমে এলো আরেক চরম আতঙ্ক ভারতীয় বিদ্যুৎ আগ্রাসন।
ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্য থেকে আদানি পাওয়ার লিমিটেড নামক ভারতীয় কোম্পানি বিদ্যুৎ আমদানি করবে বাংলাদেশে।

ভারতীয় প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ দশমিক ৮৯ টাকা। কয়লাভিত্তিক বাংলাদেশী বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ‘এস আলম পাওয়ার প্ল্যান্ট লিমিটেড’-এর ট্যারিফ মূল্য থেকে যা ২৯ পয়সা বেশি। ২৫ বছর মেয়াদি এই বিদ্যুৎ কিনতে বাংলাদেশের খরচ হবে প্রায় দুই লাখ কোটি টাকা।
অতিরিক্ত খরচে ভারতীয় বিদ্যুৎ ক্রয়ে কঠিন চাপে পড়বে বাংলাদেশের অর্থনীতি। বিদ্যুৎ সরবারাহ শুরু করার পর ভারত যে বিদ্যুতের দাম আরো বাড়িয়ে দিবে না তার নিয়শ্চয়তা কি? তখন দ্রব্যমূল্যের দাম বহু বেড়ে যাবে।

লোডশেডিংয়ের নামে যখন-তখন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিবে ভারত। তখন দেশের কল-কারখানা এবং গার্মেন্টসগুলিতে স্বাভাবিক উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটবে। আর এই সুযোগে বাংলাদেশের বিশ্ব বাজার দখল করে নিবে ভারত।

আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে সর্ববিষয়ে আগ্রাসন চালচ্ছে তুলসি পূজারীদের দেশ ভারত।
মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকারকে দেশ ও জনগণের স্বার্থ বুঝতে হবে। সরকারের দায়িত্বশীলদেরকে বঙ্গবন্ধুর মতো খাঁটি দেশ প্রেমিক হতে হবে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বার্থের বিষয়ে কখনো কোনো বিদেশী রাষ্ট্রের সাথে আপোস করেনি।

আমরা অনুভব করছি তুলসি পূজারীদের দেশ ভারত তাদের দুরভিসন্ধিমূলক উদ্দেশ্যে বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকারকে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকারকে বাংলাদেশের জনগণকে সাথে নিয়ে তুলসি পূজারিদের দেশ ভারতকে ঠেকাতে হবে।